বানান বিশ্লেষণ: ব্ +ই
উচ্চারণ: [বি] [bi]
শব্দ-উৎস:-১ সংস্কৃত অপি>বাংলা বি।
পদ: অব্যয় {নির্দেশক বা সংযোজক}।
সমার্থক শব্দাবলি: -টি, ই, ই, ও বা।
শব্দ বিবর্তন:
সর্বপ্রাচীন নমুনা ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
-টি, -টিই অর্থে: কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল/লুইপাদানাম। চর্যাগীতিকা-১।
ই অর্থে:
বাটঅ ভঅ খাণ্ট বি বলআ/সরহপাদানাম্। চর্যাগীতিকা-৩৮।
ভব উলোল ষঅবি বলআ/সরহপাদানাম্। চর্যাগীতিকা-৩৮।
জেতই বোলি তেতবি টাল। কাহ্নপাদানাম। চর্যাগীতিকা-৪০।
ও অর্থে:
জইসো জাম, মরণ বি তইসো। সরহপাদানাম্। চর্যাগীতিকা-২২।
জো এথু জাম, মরণে বি সঙ্কা। সরহপাদানাম্। চর্যাগীতিকা-২২।
বা অর্থে: ভণই কাহ্ন জিণরঅণ বি কইসা। কাহ্নপাদানাম। চর্যাগীতিকা-৪০।
শব্দ-উৎস:-২: সংস্কৃত উপসর্গ বি>বাংলা বি।
শব্দভেদে অর্থ প্রকরণ:
পৃথকভাব: বিয়োগ, বিশ্লেষ
বিবিধ ভাব: বিচিত্র, বিবিধ
অতিশয় ভাব: বিকীর্ণ,
ইতস্তত ভাব: বিক্ষিপ্ত, বিভ্রান্ত
মোহ ভাব: বিমনস্ক, বিমুগ্ধ
বৈপরিত্য ভাব: বিকর্ম, বিক্রয়, বিকল্প
বিরোধ অর্থে: বিবাদ, বিবাদী
বিশেষার্থে: বিকচ, বিকর্তন, বিবেচ্য, বিরচন, বিভূষণ, বিনীত
অভাব অর্থে: বিধবা, বিস্মৃতি
বিকৃতি বা বৈরূপ্য ভাব: বিকট, বিকার, বিকৃত
বিস্তারিত ভাব: বিকথন, বিস্তীর্ণ
সূত্র:
চর্যাগীতিকোষ। নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। কলকাতা। জানুয়ারি ২০০১। পৃষ্ঠা: ২, ৬৬, ১০১, ১০৬, ১৩৯, ১৪৬, ১৪৭।
চর্যাগীতি পরিক্রমা। ড. নির্মল দাশ। দে'জ সংস্করণ। জানুয়ারি ২০০৫। পৃষ্ঠা: ১১৩, ১৭১, ২০৫ ।
চর্যাগীতি প্রসঙ্গ। সৈয়দ আলী আহসান। মৌলি প্রকাশনী। জুন ২০০৩। পৃষ্ঠা: ১৪৮, ১৭১, ১৮৫, ১৮৭।
চর্যাগীতি পাঠ। ড. মাহবুবুল হক। পাঞ্জেরী পাবলিকেশান লি.। ঢাকা। জুলাই ২০০৯। পৃষ্ঠা: ১৫-১৬, ৯১, ১৩৯, ১৪৬।
চর্যাগীতিকা। সম্পাদনায় মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা। স্টুডেন্ট ওয়েজ। অগ্রহায়ণ ১৪০২। পৃষ্ঠা: ৬৩, ১১৯, ১৫৫, ১৬১।
চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৫০৭।
বঙ্গীয় শব্দকোষ (দ্বিতীয় খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ১৫২১-২২।
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। পৃষ্ঠা: ৮৬৫।
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা: ১৫৫৮।
বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র। দোলযাত্রা ১৩৯৭। পৃষ্ঠা: ৬৬৯।
শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৬৪৬।
শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা: ৬১৯।
শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৪৩৯।
সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা: ৬০৭।
সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টি, হুগলী। ১৪০৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৩৭৩।
সরল বাঙ্গালা অভিধান (সপ্তম সংস্করণ, নিউবেঙ্গল প্রেস ১৯৩৬)। সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা: ৯১৪।