ব্যাকরণে নির্দেশিত পদ বিশেষ। ইংরেজি adjective (ল্যাটিন adjicere> adjectivus> ফরাসি adjectif >ইংরেজি adjective)।
বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাকেই বিশেষণ বলে। এখানে বিশেষিত করা হলো— দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করা। যেমন—
ডুবন্ত জাহাজ: বিশেষ্যের বিশেষণ
করুণাময় তুমি: সর্বনামের বিশেষণ
আস্তে যাও: ক্রিয়ার বিশেষণ
বাংলা ব্যাকরণের বিশেষণের সাথে ইংরেজি adjective -এর সামান্য পার্থক্য আছে। ইংরেজি ভাষায় পদপ্রকরণে adverb নামক একটি পৃথক পদ আছে। বাংলাতে এর সমার্থ পদ হলো- ক্রিয়া-বিশেষণ। বাংলাতে ক্রিয়া-বিশেষণ হলো বিশেষণের একটি প্রকরণ।
বিশেষণের শ্রেণিবিভাজন
একটি শব্দ কিভাবে অপর একটি পদকে বিশেষিত করে, তার উপর ভিত্তি করে বিশেষণকে ৩টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগ ৩টি হলো—
১. নাম-বিশেষণ : যে সকল শব্দ সর্বনাম ও বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তাকেই নাম বিশেষণ বলা হয়। বিভিন্ন অবস্থা সাপেক্ষে এই জাতীয় বিশেষণ তৈরি হতে পারে। [বিস্তারিত]
২. ভাব-বিশেষণ: যে সকল শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যতীত অন্যপদগুলোকে বা বাক্যকে বা উভয়ের অর্থকে বিশেষিত করে, তাদেরকে ভাব-বিশেষণ। এখানে অন্যপদগুলো হলো- বিশেষণ, ক্রিয়া ও অব্যয়। [বিস্তারিত]
৩. অনুসর্গবাচক বিশেষণ: বাংলা ভাষায় এমন কিছু অর্থবোধক শব্দ আছে, যেগুলো পৃথকভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় না. কিন্তু অন্য শব্দের পরে বসে পূর্বর্তী পদকে বিশেষিত করে এবং সৃষ্ট শব্দটিকে বিশেষ অর্থ প্রদান করে। বাংলা ভাষায় অনুসর্গ কোনো শব্দের পরে পৃথকভাবে বসলেও, এই জাতীয় অনুসর্গ শব্দের সাথেই বসে। এই জাতীয় বিশেষণগুলোকে অনুসর্গবাচক বিশেষণ চিহ্নিত করা যেতে পারে। [বিস্তারিত]
এছাড়া দুই বা ততোধিক সত্তার ভিতরে তুলনামূলক দশা প্রকাশের ক্ষেত্রে বিশেষণের একটি বিশেষ শ্রেণি নির্দেশ করা হয়। একে বলা হয় বিশেষণের অতিশায়ন। [দেখুন: বিশেষণের অতিশায়ন]