সংস্কৃত ণিচ>বাংলা ই (ণিচ)।
এই প্রত্যয় ক্রিয়ামূলের পরে বসে ক্রিয়ামূলের বর্ণবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়ে নূতন একটি ক্রিয়ামূল তৈরি করে। এই কারণে এই প্রত্যয়কে ধাত্ববয়ব বলা হয় এবং এই প্রত্যয়যুক্ত হওয়ার পর যে নূতন ক্রিয়ামূল তৈরি হয় তাকে বলা হয়- ণিজন্ত ক্রিয়ামূল। গ্রন্থভেদে এর লিখিত রূপের বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করা যায়। যেমন―
ক. ই (ণিন)। সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী। বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান।
খ. ণিজন্ত-। সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র।
গ. ণিচ । বাঙ্গালা ভাষার অভিধান। জ্ঞানেন্দ্রমোহোন দাস।
এই প্রত্যয়ের ণ, চ ইৎ হয় এবং ই ক্রিয়ামূলের সাথে যুক্ত হয়। যেমন―
√চল্ + ই (ণিচ)= √চালি
এই প্রত্যয় থেকে উৎপন্ন ণিজন্ত ক্রিয়ামূলের তালিকা দেওয়া হলো।
Öঅর্থি=Öঅর্থ +ই (ণিচ)
Öঅর্পি=Öঋ +ই (ণিচ)
Öআন্দোলি=Öআন্দোল্ +ই (ণিচ)
Öআরাধ্=আ-Öরাধ্ (আরাধনা করা) + ই (ণিচ)
√আপি {√ই +ই (ণিচ)}
Öইষি ={√ইষ্ + ই (ণিচ)}
√কদি ={√কদ্ + ই (ণিচ)}
√কল্পি ={√কল্প্ + ই (ণিচ)}
√কানি={√কন্ +ই (ণিচ)}
√কীর্তি= {√কৃৎ (কীর্তন করা) +ই (ণিচ)}
√কুমারি= {কুমার +(ক্রীড়া করা)+ই (ণিচ)}
√ক্ষপি ={√ক্ষপ্ + ই (ণিচ)}
√ক্ষমি ={√ক্ষম্ + ই (ণিচ)}
√ক্ষয়ি ={√ক্ষি+ ই (ণিচ)}
√ক্ষারি ={√ক্ষর্ + ই (ণিচ)}
√ক্ষালি ={√ক্ষল্ +ই (ণিচ)}
√চারি=√চর্ +ই (ণিচ)}
√জনি ={√জন্ +ই (ণিচ)}
√তাপি= {√তপ্ +ই (ণিচ)}
√তারি ={√তৄ +ই (ণিচ)}
√তারি ={√তৄ +ই (ণিচ)}
√দর্পি ={√দৃপ+ই (ণিচ)}
√ধারি ={√ধৃ +ই (ণিচ)}
√নন্দি ={√নন্দ +ই (ণিচ)}
√নাশি={√নশ্ +ই (ণিচ)}
√পাটি={Öপট্ +ই (ণিচ)}
√বাদি ={√বদ্+ই (ণিচ)}
√বারি ={√বৃ +ই (ণিচ)}
Öবাসি ={Öবস্ +ই (ণিচ)}
Öবাহি =√বহ্ +ই (ণিচ)}
Öভাজি ={√ভজ্ +ই (ণিচ)}
√ভাবি ={√ভূ+ই (ণিচ)}
√মারি ={√মৃ + ই (ণিচ)}
√মূর্চ্ছি= {√মূর্চ্ছ +ই (ণিচ)}
√যমি ={√যম্ +ই (ণিচ)}
√রমি ={√রম্ +ই (ণিচ)}
√রোচি ={√রুচ্ + ই (ণিচ)}
√শীলি ={√শীল্ +ই (ণিচ)}
√স্নাপি={√স্না+ই (ণিচ)}
√হৃষি={√হৃষ্+ই (ণিচ)}
√হ্রাসি={√হ্রস্+ই (ণিচ)}
√হ্রেপি={√হ্রী+ই (ণিচ)}