বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ-এর একটি। অভিধান মতে- Öঅৎ (নিয়ত গমন করা) + ই =অতি। এই উপসর্গ মূলত অতিরিক্ত, অধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই মূলভাবের কিছু বিশেষ অর্থে প্রধান, অতিক্রান্ত, অতিরঞ্জিত, বাহুল্য, আদ্যাবস্থা ইত্যাদি অনুসারে এর অর্থে বিভাজিত করা হয়। যেমন―
অতিশয়িত বা অধিক অর্থে : অতিকর্কশ, অতিকঠোর, অতিকাতর, অতিকায়, অতিকৃচ্ছ্র, অতিকেশ, অতিক্রূর, অতিক্ষীণ, অতিখর, অতিগণ্ড, অতিগন্ধ, অতিগভীর, অতিগহীন, অতিগুণ, অতিগুরু, অতিডীন, অতিতার, অতিতৃপ্ত, অতিতৃষ্ণ, অতিদরিদ্র, অতিদর্প, অতিদূর, অতিদান, অতিদারুণ, অতিদাহ, অতিদীন, অতিদুর্গত, অতিদীর্ঘ,অতিদোহ, অতিনিদ্রা, অতিনীচ, অতিপরিচিত, অতিপানেচ্ছু, অতিপিপাসিত, অতিপৌঢ়, অতিবড়, অতিবল, অতিবষ, অতিবাড়, অতিবাত, অতিবিমোহন, অতিবৃদ্ধ, অতিবৃষ্টি, অতিভীষণ, অতিরূঢ়, অতিলম্বা, অতিশয়, অতিহীন, অত্যুৎকৃষ্ট।
প্রধান অর্থে: অতিদেব
অতিশায়নে : অতিতম, অতিতর,
বাহুল্য অর্থে : অতিরিক্ত, অতিকৃত, অতিবিধ,
অতিরঞ্জিত অর্থে : অতিকথা, অতিবিশদ, অতিপ্রকাশ, অতিপ্রণয়, অতিবিস্তর
অতিক্রান্ত অর্থে : আতিকশ, অতিক্রম, অতিক্রমণ, অতিক্রমণীয়, অতিক্রমী,অতিক্রান্ত, অতিগ, অতিচার, অতিজর, অতিজব, অতিজাত, অতিদেশ, অতিপত্তি, অতিপর, অতিপাত, অতিপাতক, অতিপাতিত, অতিপাতী, অতিপাত্য, অতিপ্রকৃতি, অতিপ্রাকৃত, অতিবষ, অতিবর্তন, অতিবাদ, অতবাহ, অতিবুদ্ধি,
আদ্যা-নির্দেশনায় : অতিকল্য, অতিসকাল
ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে এই উপসর্গে কোন সন্ধি হয় না। কিন্তু স্বরসন্ধিতে এর বানান পরিবর্তন ঘটে। যেমন―
অতি +ই=অতী অতি +ই+ত=অতীত
অতি +অ=অত্য অতি +ই+অ=অত্যয়
অতি +উ =অত্যু অতি-উৎকৃষ্ট=অত্যুৎকৃষ্ট
এর পরে যুক্ত অপরাপর যে উপসর্গ যুক্ত হতে পারে-
আ অতি-আ-Öচর +অ=অত্যাচার
উৎ (উদ) উপসর্গজাত শব্দ : অতি –উৎ-Öকৃষ +ত=অত্যুৎকৃষ্ট