ইংরেজি : harmony।
শব্দ উচ্চারণের সময়, অনেক ক্ষেত্রে শব্দের ভিতরের একটি স্বরধ্বনি অপর স্বরধ্বনি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর ফলে উভয় শব্দের ভিতরে স্বরধ্বনির একটি সমন্বয় সৃষ্টি হয়। এই সমন্বিত অবস্থাকেই বলা হয় স্বরসঙ্গতি।
অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
স্বরসঙ্গতির প্রকৃতি অনুসারের একে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো প্রগত, পরাগত, মধ্যগত ও অন্যোন্য।
প্রগত (Progressive) : শব্দের আদি স্বরধ্বনি অনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন হলে, তাকে প্রগত বলা হয়। যেমন -
ই অনুসরণে এ শিকা>শিকে (শ-এর সাথের ই ধ্বনির জন্য ক-এর সাথে এ যুক্ত হয়েছে।)
উ অনুসরণে ও মুলা>মুলো (ম-এর সাথের উ ধ্বনির জন্য ল-এর সাথে ও যুক্ত হয়েছে।)
পরাগত (Regressive) : শব্দের শেষের স্বরধ্বনি অনুসারে আদি স্বরধ্বনির পরিবর্তন হলে, তাকে পরাগত বলা হয়। যেমন-
ই অনুসরণে এ দেশি>দিশি। (দ-এর সাথের এ ধ্বনির পরিবর্তন ঘটেছে শেষের শ-এর সাথে যুক্ত ই-কারের জন্য।)
মধ্যগত (Mutual) : আদ্য-স্বরধ্বনি ও অন্ত্য-স্বরধ্বনি অনুসারে মধ্য-স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে, তাকে মধ্যগত স্বরসক্তি বলা হয়। যেমন-
ই অনুসরণে আ ধ্বনির পরিবর্তন : বিলাতি>বিলিতি।
অন্যোন্যগত (Reciprocal) : আদ্য-ধ্বনি ও অন্ত্য-স্বরধ্বনি অনুসারে মধ্য-স্বরধ্বনির ভিন্নতর পরিবর্তন ঘটলে, তাকে অন্যোন্যগত স্বরধ্বনি বলা হয়। যেমন-
ও অনুসরণে আ ধ্বনির পরিবর্তন : মোজা>মুজো।